ব্রুকলিন এর বারক্লে সেন্টার এ প্রফেশনাল বাস্কেটবল গেম ও হকি গেম এর আয়োজন করা হয় এবং WWE এর ফ্রাইডে নাইট স্ম্যাকডাউন থেকে শুরু করে কার্ডি বি (Cardi B) এর কনসার্ট পর্যন্ত এরা আয়োজন করে। কিন্তু যখন পৃথিবীর সবচেয়ে বড় ই স্পোর্টস স্টার দের ফেস অফ এইখানে অনুষ্ঠিত হয়, ৬৫ হাজার ফ্যানরা সেইজায়গায় কাটিং এজ টেকনোলজি দেখতে পাইসিলো! পুরা বারক্লে তখন একটা সাই ফাই মুভির একটা সেটের থেকে কম কিছু ছিলো না। গোল্ডম্যান স্যাকস এর রিপোর্ট অনুযায়ী HBO, Netflix এবং ESPN এর সম্মিলিত যে দর্শক আছে তার তুলনায় টোটাল ই স্পোর্টসের দর্শক সংখ্যা অনেক বেশি। এই কারণে অনুমান করা হইতেছে আজকের এই ১০ বিলিয়ন ডলার এর এই ই স্পোর্টস ইন্ডাস্ট্রি ২০২৪ সালের মধ্যে ২৪ বিলিয়ন ডলার এ ইনক্রিস করবে! মানে Insane! যদিও এটার অনেক সমালোচক বইলা থাকেন ই স্পোর্টস অ্যাথলেটদের শুধুমাত্র একটা জিনিসেরই ব্যায়াম হয়, সেটা হচ্ছে ওদের বুইড়া আঙ্গুল। কিন্তু ওরা জ্বী জিনিসটা মিস করে, সেটা হইলো ব্রেইন এর এক্সারসাইজ! অন্যান্য যেকোনো অ্যাথলেটদের চেয়ে ই স্পোর্টস অ্যাথলেটরা কলেজের অ্যাডমিশন টেস্টের ম্যাথ সেকশনে অনেক বেশি ভালো রেজাল্ট করে। এমনকি STEM Education যেটা Science, Technology, Engineering and Mathematics এর সমন্বয়ে গঠিত, ওইখানে ই স্পোর্টস প্লেয়াররা অনেক ভালো করে বলে দেখা গেছে। সব মিলিয়ে এই ই স্পোর্টস ইন্ডাস্ট্রিটা পৃথিবীতে কতটুক বড় এবং বাংলাদেশে এর বিস্তৃতি কতটুক?
একজন ই স্পোর্টস প্লেয়ার বছরে বা মাসে কত টাকা ইনকাম করে এবং বাংলাদেশে ই স্পোর্টস গেমিং ইন্ডাস্ট্রির একটা সার্বিক স্বরূপ আমি আজকে আপনাদের সামনে তুলে ধরার চেষ্টা করবো। তো চলুন, শুরু করা যাক।
প্রথমে আপনাকে একটা জিনিস বুঝতে, আপনি যদি কম্পিউটারে বইসা বইসা তাস খেলতে থাকেন, এইটাই কিন্তু ই স্পোর্টস না। যেকোনো গেম কে আপনি ই স্পোর্টস বলতে পারবেন না। ই স্পোর্টস হইতে হইলে এটার মূলত ২ টা বৈশিষ্ট্য থাকতে হবে।
১. এটা একটা কম্পিটিটিভ বা প্রতিযোগিতামূলক গেম হইতে হবে। এখানে আপনি অন্য কোনো প্লেয়ার এর বিপক্ষে কম্পিট বা প্রতিযোগিতা করবেন। অন্য এক বা একাধিক প্লেয়ারকে হারিয়ে দেওয়ার জন্যে আপনি গেমটা খেলবেন।
যেমন: ভ্যালোরেনট, কাউন্টার স্ট্রাইক (Counter Strike), পাবজি (PUBG), কল অফ ডিউটি (Call Of Duty) কিংবা লীগ অফ লেজেন্ড (Legue of Legend) এর মত গেমগুলো। এখানে এখানে একজন আরেকজনের বিপক্ষে কম্পিট করে।
২. এই গেমটার অফিসিয়াল একটা টুর্নামেন্ট থাকতে হবে। যেমন: ভ্যালোরেনট বা পাবজির কথা ধরলাম, ওদের কিন্তু একটা টুর্নামেন্ট বা ওয়ার্ল্ড চ্যাম্পিয়নশিপ নির্দিষ্ট সময় পর পর হয়ে থাকে। অনেক অনলাইন গেম আছে যেগুলো খুবই জনপ্রিয়। যেমন GTA ONLINE কিংবা Minecraft এর মত গেম, এগুলোকে কিন্তু ই স্পোর্টস হিসেবে ধরা হয়না। প্রচুর ইউটিবাররা মাইনক্রাফট স্ট্রিমিং করে প্রচুর পরিমাণে উপার্জন করতেছে। কিন্তু ওদের কোনো গ্লোবাল চ্যাম্পিয়নশিপ নাই। ওইখানে যেয়ে বিভিন্ন দেশের গেমাররা এসে প্রতিযোগিতা করে না। ওদের লোকাল কিছু কম্পিটিশন থাকতে পারে, কিন্তু গ্লোবাল না।
ই স্পোর্টস প্লেয়াররা মূলত ৫ ভাবে ইনকাম করে থাকে।
১. ধরেন ওরা একটা টিমের মধ্যে আছে,ওইখানে টিমের সদস্যেরকে একটা নির্দিষ্ট সময়ে বেতন দেওয়া হয়।
যেমনটা আমাদের দেশের সরকারি চাকরিজীবীদেরকেও দেওয়া হয়ে থাকে। শুধু মনে হয় পেনশন থাকবে না।
২. বিভিন্ন কম্পিটিশনে একটা প্রাইজ রেঞ্জ বলা থাকে যে চ্যাম্পিয়ন হলে আমি এত টাকা পাবেন, রানার আপ হইলে এত টাকা পাবেন। ঐখান থেকে একটা আয় আসে।
৩. আপনার যদি কোনো ব্র্যান্ডিং রাইট থাকে বা আপনি কোনো ব্র্যান্ড কে রিপ্রেজেন্ট করেন।
৪. আপনি ধরেন অনলাইনে গেমিং করতেছেন, ওইসময় ভিউয়ার বা যারা ওই গেমিংটা দেখতেছে, ওরা আপনাকে ডোনেট করবে। ওরা আপনাকে টাকা দিবে বিকাশ বা নগদে। এটা আমরা বাংলাদেশের অনেক গেমারদের ক্ষেত্রে দেখি।
৫. আপনি সরসরি স্পন্সর নেন। যেমন ধরেন একজন Dota 2 প্লেয়ার আছে, নাম জোহান সানস্টেইন,
যাকে বলা হয় উনি Dota 2 খেলে প্রায় ৬.৬ মিলিয়ন ডলারেরও বেশি আয় করছে এবং তাকে এযাবৎকালের সবচেয়ে বেশি টাকা উপার্জন করা গেমার ধরা হয়।
বাইরের দেশে যারা প্রো গেমার আছে, ওরা কাইন্ড অফ ৪/৫ হাজার ডলার প্রত্যেক মাসে সেলারি পেয়ে থাকে। টুর্নামেন্টের প্রাইজ মানি যদি আপনি চিন্তা করেন, সেটা প্রায় ৫০ হাজার ডলারের মত থাকে। আপনি যদি গেম স্ট্রিমিং করেন, তাহলে মাসে ১/২ হাজার ডলার আপনি আয় করতে পারবেন। এই রেঞ্জটা একদম নির্দিষ্ট না, এটা উঠানামা করতে পারে। আমি যেটা বলছি, সেটার থেকে বেশি বা কম যেকোনো কিছু হইতে পারে। যেমন এযাবৎকালের সবচেয়ে বেশি প্রাইজ মানির হিসাব যদি দেখেন, জোহান সানস্টেইন Dota 2 খেলার জন্যে পাইসিলো ৭.২ মিলিয়ন ডলার।
Kyle “Bugha” Giersdrort ফর্টনাইট এর জন্যে পাইসিল ৩.২ মিলিয়ন ডলার।
পিটার রাসমুসেন CS GO খেলার জন্যে পাইসিলো ১.৯ মিলিয়ন ডলার।
ইয়েন পর্টার Call Of Duty খেলার জন্যে পাইসিলো ১.৩ মিলিয়ন ডলার।
লি সান হিয়ক Legue Of Legend এর জন্যে পাইসিলো ১.৩ মিলিয়ন ডলার।
তো,টাকা পয়সা কিন্তু বহুত আছে কিন্তু ওরা হইলো বিদেশি। আসেন দেখি বাংলাদেশের মানুষজন কিরকম কামায়!
ঢাকা ট্রিবউনের একটা হিসাব এ বলা হইসে বাংলাদেশের একজন উপরের সারির ই স্পোর্টস প্লেয়ার মাসে প্রায় ৫০ থেকে ৭০ হাজার টাকা ইনকাম করে। ওদের ইনকামের সোর্স ও সেম। ধরেন একটা প্রাইজ মানি পাইলাম, ঐটা ৪ জন বা ৫ জন টিম সদস্যদের মধ্যে ভাগ হয়ে যাবে। আর এমনিতে অন্যান্য স্পন্সরশিপ কিংবা ব্র্যান্ড ডিল তো আছেই।
এবার আসা যাক, সবচেয়ে ইন্টারেস্টিং একটা জিনিস, ই স্পোর্টস কিভাবে দেশের ইকোনমি তে অবদান রাখতেছে! দেখেন সবসময় একটা উদাহরণ কিন্তু দেওয়া হয়। ফর্মুলা ওয়ান (F1) যে কার রেস এর কম্পিটিশন টা আছে,
ওইখানে গাড়ির গতি বাড়ানোর জন্যে যে টেকনোলজিগুলো আনা হইসে, এই গেম টা না থাকলে কিন্তু এটা কোনোদিন আনা হয়তো সম্ভব হইতো না বা আরো পদে আমরা পাইতাম। ফর্মুলা ওয়ান কার রেসিং এর জন্যে অটোমোটিভ ইঞ্জিনিয়ারিং এর বিশাল একটা বিপ্লব আসছে। যেই কারণে আমরা অনেক ভালো ভালো গাড়ি আজকের জমানাতেই পাইতে পারতেছি। সেম কথা ই স্পোর্টস এর ক্ষেত্রেও আসে। একটা জাস্ট উদাহরণ দেই। আমি হাইড্রলজি নিয়ে কাজ করি। আমি বন্যা নিয়ে কাজ করি। আমাদের অনেক ভারী ভারী কিছু সফটওয়্যার আছে যেগুলো নরমাল পিসি তে হয়তো চালানো সম্ভব হবে না। আমাদের যে ল্যাব আছে, যেটার ছবি হয়তো অনেক আগে থেকে আমার ভিডিও যারা দেখেন তারা দেখছেন, ওই ল্যাব এ আমি আগে ভিডিও করতাম। ওই ল্যাব এ যে কম্পিউটার গুলো দেখতেন, প্রত্যেকটা হলো মোটামুটি একটা গেমিং পিসি। কিন্তু এগুলোতে কিন্তু আমরা গেম খেলিনা। আমরা অনেক ভারী ভারী সফটওয়্যার চালাই।ধরেন আমি ইউজ করতেছি ডেলফিউজ কিংবা RGS এর মত সফটওয়্যারগুলো।
সিপিইউ কিংবা জিপিইউ এর যে ক্ষমতাটা বাড়ানো, এটা গেমিং এর কারণেই এখনই এতো বেশি পরিমাণে সম্ভব হইসে। USA এর বয়েস স্টেট ইউনিভার্সিটি কিংবা হ্যারিসবার্গ ইউনিভার্সিটি, ওরা ওদের কলেজের কারিকুলাম সাজাইতেছে এই ই স্পোর্টস শিক্ষা দেওয়ার জন্যে। ওহাইও স্টেট তো এখন একটা আন্ডার গ্র্যাজুয়েট বিভাগ ই রাখছে (যেমন সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং এর মতন) ই স্পোর্টস এর জন্যে। আটলান্টা, কেনসাস সিটি এবং টেক্সাস এর মত রাজ্যগুলো ই স্পোর্টস এর মধ্যে অনেক বেশি পরিমাণে ইনভেস্ট করতেছে এবং ওই হাই টেক এরিনাগুলোতে আপনাকে প্রচুর পরিমাণে প্রযুক্তি সাজাইতে হবে। ওগুলো জন্যে অনেক লোকবল লাগবে, ওগুলো চালানোর জন্যে অনেক এক্সপার্ট লাগবে। ওদের কিন্তু একটা বড় জব সেক্টর ওইখানে ক্রিয়েট হইতেছে। তাই ইকোনমি তে ই স্পোর্টস এর কিন্তু বেশ বড় একটা অবদান আছে। দ্বিতীয় জিনিস, এইখানে ডাইভারসিটি অনেক বেশি থাকে। অনেক মেয়েরা কিন্তু গেমিং ইন্ডাস্ট্রির মধ্যে খুব সহজেই প্রবেশ করতে পারে। যেমন ফর্টনাইট এখন যারা মোবাইল ডিভাইস এর মধ্যে খেলে, ওদের মধ্যে অর্ধেকই হচ্ছে ফিমেইল।
যদিও আমি রিসেন্টলি বাংলাদেশি একটা গেম স্ট্রিমিং দেখে খুবই অবাক হয়ে গেছিলাম।
এভাবে কাচা মরিচ খাওয়ার কোনো বাজী আপনি জীবনেও ধইরেন না। কিন্তু গেমাররা কিন্তু মেয়ে ছিলো। এটা একটা পজিটিভ পয়েন্ট।
২০১৯ সালে USA (United State Of America) এর গেমিং ইন্ডাস্ট্রি প্রায় ৯০.৩ বিলিয়ন ডলার জেনারেট করে এবং এর কারণে প্রায় ৪২৯০০০ জব তৈরি হইসে। এমনকি সৌদি আরবেও প্রচুর পরিমাণে মানুষ গেমিং ইন্ডাস্ট্রিতে ঢুকতেছে এবং এটা ওদের জিডিপি তে প্রায় ২১ বিলিয়ন ডলার ইনপুট দিবে বলে আশা করা হইতেছে। ওদের যে ই স্পোর্টস ফেডারেশন আছে, ওইটার প্রেসিডেন্ট যিনি, প্রেসিডেন্ট
ফয়সাল, উনিও কিন্তু লোকাল ইকোনমিতে ই স্পোর্টস এর মাধ্যমে বিলিয়ন ডলার ইনপুটের পরিকল্পনা করতেছে।
গ্লোবালি চিন্তা করলে এটা ২০২১ এটা প্রায় ১.০ বিলিয়ন ডলারে দাড়াইসে
এবং ২০২৪ সালের মধ্যে এটা এক্সপেক্ট করা হইতেছে ১.৬ বিলিয়ন ডলার পর্যন্ত পৌঁছায় যাবে।
আপনি ২০২১ সালে যে ৭ টা সবচেয়ে বড় গেমিং কম্পিটিশন হইসে,ওগুলোর প্রাইজ মানির যদি একটু তাকান তাহলেই বুঝে যাবেন। Dota 2, ওরা প্রায় ৪৭.২ মিলিয়ন ডলার দিসে।
CS GO ২১ মিলিয়ন ডলার,
পাবজি ব্যাটেলগ্রাউন্ড ১৬ মিলিয়ন ডলার,
পাবজি মোবাইল ১৪.৫ মিলিয়ন ডলার,
এরিনা অফ ভ্যালোর ১২.৩ মিলিয়ন ডলার,
ফর্টনাইট ৯.৫ মিলিয়ন ডলার,
লীগ অফ লেজেন্ড ৭.৩ মিলিয়ন ডলার।
তো যাই হোক Dota 2 এর টাকা পয়সা অনেক বেশি, এটা বুঝা যায়। পাবজিকে আমরা যতই গালি দেই,ওদের কিন্তু টাকা পয়সার অভাব নাই। ই স্পোর্টস এ আপনার আব্বা আম্মা যদি মাঝে মাঝে যদি বলে যে আপনি গেম খেইলেন না,তাহলে আপনি আমার এই কথাগুলো আপনি ওইখানে রেফার করতে পারেন। অনেকগুলো কোয়ালিটি এটার মাধ্যমে ডেভেলপ হয়। যেমন মনে করেন একসাথে খেললে আপনি টিম ওয়ার্ক স্কিল শিখতেছেন, কিভাবে একটা টিমের মধ্যে কাজ করতে হয় সেটা বুঝা যায়। অনেক কলেজে গেমারদের আলাদা স্কলারশিপ পর্যন্ত দেওয়া হয়। অনেক গেমার এটা স্বীকার করছে ই স্পোর্টস খেলার পরে ওদের হ্যান্ড-আই কোর্ডিনেশন, অর্থাৎ চোখ দিয়ে দেখে হাত দিয়ে কাজ করার যে ক্ষমতা আছে, এটা অনেক বৃদ্ধি পাইসে যেটা বিমান চালানোর মর জায়গাগুলোতে অনেক ইম্পর্টেন্ট। EA, NINTENDO কিংবা MICROSOFT এর মতন জায়গাতে এই ই স্পোর্টস প্লেয়ারদের কিন্তু প্রচুর পরিমাণে কাজের সুযোগ হইতেছে। একটা স্টাডি বলছে সুপার মারিওর মত গেম খেলার কারণে ওদের ব্রেইনে গ্রে ম্যাটার বৃদ্ধি হইসে যেটা মূলত আপনার বুদ্ধি ভিত্তিক ক্ষমতা বা আপনি কতটুক আপনি নিজের মেমোরি কিংবা স্মৃতিতে রাখতে পারেন ওইটার জন্যে খুবই গুরুত্বপূর্ন ভূমিকা পালন করে। ২০১৮ তে পিউ রিসার্চ সেন্টারের একটা রিসার্চে দেখা যায় প্রায় ৯৭% ছেলেরা যারা টিনেজার এবং ৮৩% টিনেজার মেয়ে,ওরা সবাই ভিডিও গেম খেলে। স্কুলগুলোতে যদি গেম ইন্ট্রোডিউস করা হয় তাইলে ঐটা খুব ভালো একটা উপায় হবে ওদেরকে সোশ্যাল এনভায়রনমেন্টের মধ্যে অন্য আর ১০ জন মানুষের সাথে মেশার সুযোগ করে দেওয়ার এবং তাদের সাথে হাসিমুখে কাজ করার যে ক্ষমতা বা নেটওয়ার্কিং এর স্কিল বাড়ানো, এটা অফিসিয়ালি করা সম্ভব হবে। এইভাবে সবার সাথে মিশলে অনেক ক্ষেত্রে ডিপ্রেশনের অনেক কেস আমরা সলভ হতে দেখছি। সুতরাং ই স্পোর্টস এর ক্ষেত্রে আপনি হয়তো দেখতেছেন যে একটা মানুষ সারাদিন কম্পিউটারের সামনে বসে হয়তো গেম খেলতেছে, কিন্তু এটা ওর লাইফে অনেক বড় একটা ইফেক্ট রাখতে পারে। গেমারদের যে কমিউনিটিগুলো থাকে,এগুলো একেকটা ভাই ব্রাদারের চেয়েও বেশি ভালো বন্ডিং রাখে। এই সোশ্যাল বন্ডিংগুলো খুবই মিনিংফুল। যে কারণে জাপান কিন্তু এই বছর তাদের দেশের প্রথম ই স্পোর্টস স্কুল ওপেন করতে যাইতেছে যেইখানে শুধুমাত্র ভিডিও গেমই তাদেরকে শিখানো হবে না বরঞ্চ স্ট্যান্ডার্ড যে জাপানিজ কারিকুলামগুলো আছে, ওইটাও ওদেরকে শিখানো হবে। কাইন্ড অফ BKSP এর মত।
এবার চলেন দেখি বাংলাদেশের কিছু বিখ্যাত ই স্পোর্টস টিমের ক্ষেত্রে! যেমন একটা হচ্ছে “Exceeli E sports”।
এটা বর্তমানে বাংলাদেশের ওয়ান অফ দা বেস্ট ভ্যালোরেন্ট টিম ধরা হয়। ভ্যালোরেন্ট গেমটা প্রচুর পরিমাণে বিখ্যাত। আমাদের সাদমান সাদিক ও কিন্তু ভ্যালোরেন্ট খেলে।
A1 E sports, ওরা মেইনলি বিখ্যাত পাবজির জন্যে।
ওরাই কিন্তু সম্প্রতি রাফসান দা ছোটভাইয়ের সাথে টিমাপ করে ছোটভাই স্কোয়াড নামে পাবজি মোবাইল স্টার চ্যালেঞ্জ বা PMSC যেটাকে বলা হচ্ছে, ঐটাতে পার্টিসিপেট করে এবং ওরা ঐটাতে ফোর্থ হইসে। এটা গত ডিসেম্বরের ২৫-২৬ তারিখের দিকে শেষ হয়ে গেসে। একটু মনে রাখতে হবে রাফসান এখানে একজন ইনফ্লুয়েন্সার বা স্টার হিসেবে গেসিলো যেহেতু এটা পাবজি মোবাইল স্যার চ্যালেঞ্জ। আরেকটা আছ PMGC যেটাকে বলে পাবজি মোবাইল গ্লোবাল চ্যাম্পিয়নশিপ।
ঐটা ২০২১ সালের জানুয়ারি মাসেই শেষ হয়ে গেছে। ওইখানেওগেসিলো, কিন্তু তখন ওইখানে রাফসান ছিলো না। এখন বাংলাদেশের পিসি গেমাররা অনেক ক্ষেত্রে শুনছি মোবাইল গেমারদের নাকি দেখতে পারে না এবং এই গবেষণা করতে গিয়ে অনেক কথাবার্তা শুনছি যে গেমিং কমিউনিটির মানুষজন নাকি একটু টক্সিক হয়! আমি এই কারণে গবেষণা করার সাথে সাথে অনেক গালিগালাজ শোনার প্রস্তুতি নিয়া রাখছি। যেমন ফ্রি ফায়ার নিয়ে কিন্তু একটা ঝামেলা আমরা সবসময় শুনি। এটা নাকি ততটা জনপ্রিয় হওয়ার কথা না, গারিনা নামক একটা কোম্পানি এই গেমটা বানাইসে। এই কোম্পানিটা Dota 2 ও বানাইসিলো। ২০১০ এর আগে আপনি কোনো গেম যদি খেলতে চাইতেন,তাহলে মাল্টিপ্লেয়ার খেলতে পারতেন না। ওরা সেই অনলাইন ল্যান ইন্ট্রোডিউস করে যেখানে Dota 2 মাল্টিপ্লেয়ার খেলা যেত, ২ জন প্লেয়ার মিলে খেলা যাইতো। তারপরে নাকি ফ্রি ফায়ার এর পেইড ভার্সনগুলোতে প্রচুর আনফেয়ার অ্যাডভান্টেজ দেওয়া হয়। যেমন আপনি যদি কোনো ওয়েপন কিনেন কিংবা আপনি যদি স্কিন চেঞ্জ করেন,(যেটা টাকা দিয়ে করতে পারবেন) তাহলে আপনার পাওয়ার নাকি এত পরিমাণে বাড়ায় দিবে যেটা অন্য কোনো গেমের ক্ষেত্রে নাকি এতটা দেখা যায় না। সেকারণে মানুষজন ফ্রি ফায়ারকে একটু ঘৃনা করে।
বাংলাদেশে ই স্পোর্টস এর কিছু বড় বড় কমিউনিটি আছে। যেমন ভ্যালোরেন্ট এর একটা কমিউনিটি আছে যেটার ৪০ হাজার মেম্বার, CS GO এর ১৩ হাজার মেম্বার, পাবজির ১৪৫ হাজার মেম্বার, পাবজি মোবাইল এর ২৭৬ হাজার মেম্বার, কল অফ ডিউটি মোবাইল এর ২৩১ হাজার মেম্বার। এই কমিউনিটিগুলো কিন্তু অনেক স্ট্রং এবং নিজেদের মধ্যে অনেক ভালো কানেকশন রাখে এবং এ কমিউনিটি গুলো দিন দিন আরো বড় হচ্ছে।
এই পুরো আলোচনার মধ্যে আমি দেখানোর চেষ্টা করছি ই স্পোর্টস ইন্ডাস্ট্রিটা পুরা ওয়ার্ল্ড ওয়াইড বা বাংলাদেশে কতটুক বিস্তৃত হইতেছে! এটা বিভিন্ন দেশের ইকোনমি তে কিরকম অবদান রাখতেছে! এটা মানুষের সোশ্যাল এনভায়রনমেন্ট এর মধ্যে খাপ খাওয়ানোর জন্যে কতটুকু অবদান রাখতেছে এবং বাংলাদেশী কমিউনিটি গুলো আসলে কিভাবে গ্রো আপ করতেছে সময়ের সাথে সাথে।
মিম রিভিউ:
১. Inevitable_Art8050
আর সে মিশনটি হচ্ছে কালা জাহাঙ্গীর কে বাঁচাতে হবে। “তো বন্ধুরা কালা জাহাঙ্গীরকে যারা চিনেন না, তারা অবশ্যই এই মিশনটা খেললে চিনে যাবেন। আর যারা খেলেছেন,তারা তো অবশ্যই কালা জাহাঙ্গীরকে চিনেন।” উনাকে কিন্তু কেও জীবনেও কালা জাহাঙ্গীর বলে নাই। এটা একটা ভিলেন এর নাম।
২. MechanicGeneral2691:
একটা জিনিস বলতে পারবো,
এই ছবিটার কালার গ্রেডিং খুবই জোস হইসে। আর ছবিতে কিছুটা অশ্লীল কাজ করতে দেখা যাইতেছে। আপনারা কেও তাকায়েন না।
৩. Rombuz:
মূল্যস্ফীতি!! একটা ৫০০ টাকার নোট বিক্রি হবে ৫৯৯ টাকায়। তাও আবার বইলা দিসে ফিক্সড।
আবার একজন নিচে গিয়ে কমেন্ট করছে গুলিস্তান এর আন্ডারগ্রাউন্ড মার্কেট এ এটা মাত্র ৭০ টাকায় সেল দিতেছে। ভাই এই পুরা গুলিস্তান আন্ডারগ্রাউন্ড মার্কেট দেশের বড় বড় অর্থনৈতিক সূত্রকে হার মানায় দিবে। ইকোনোমিক্স এর সূত্র এখানে খাটবে না। 500 টাকা = 599 টাকা হয়ে যাইতেছে, আবার মাঝে মাঝে ৭০ টাকাও হয়ে যাইতেছে। ভালো তো! তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান এর সাথে এদের পরিচয় করায় দেওয়া খুব উচিত ছিলো।
নতুন নতুন ইকোনোমিক্স এর মডেল দাড় করানো হয়ে যেতো।
আজকে এই পর্যন্তই,আশা করি ই স্পোর্টস সম্পর্কে একটা প্রাথমিক ধারণা আপনারা পাইসেন এবং ভবিষ্যতে আপনারা নিজেরা যদি গালাগালি শুনেন,তাহলে এটা আপনারা আপনাদের আব্বা আম্মা কে রেফার করতে পারেন। যদি না আপনার আব্বা আম্মা একজন ইউটিউবার হয় এবং আমার বিরুদ্ধে আরেকটা ভিডিও তারা বানায়। তখন আবার আমাকে ফেসবুক পোস্ট এ সব ক্লিয়ার করতে হবে।
সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। দেখা হবে ইনশা আল্লাহ্ পরবর্তীতে, আল্লাহ্ হাফেজ।
পুরা ভিডিও দেখেন ইউটিউবে!
Research Affiliates:
Labid Rahat https://www.youtube.com/channel/UCTio…
Alif Arshad https://www.facebook.com/alif.arshad.b
For Gaining more knowledge on this topic:-
• How Esports Are Fueling the Economy
• What is eSports? A look at an explosive billion-dollar industry
• How Much Do Esports Players Make
• Esports in Bangladesh: An untapped industry on the rise
• Study: Gaming industry contributed $90B to U.S. economy in 2019
• With half of Saudis turning gamers, eSports to add $21bn to GDP
• 7 biggest esports games by prize money in 2021
• Top Benefits of Esports For kids
• Esports in School: Teamwork, Self-Confidence, Competition
• Playing Super Mario 64 increases hippocampal grey matter in older adults
• Expert Say Video gaming Helps Improve Your Brain Size and Connectivity
• Esports High School Opening In japan Next Spring
• Teens, Social Media and Technology 2018
• The Pain of Social rejection
• Call Of Duty Mobile | Facebook Group
• PUBG Mobile Star Challenge South Asia 2021