এই মুহূর্তে আপনি যখন এই পোস্টটাতে ক্লিক করলেন তখন পুরো পৃথিবীতে প্রায় ৪৭২ কোটি লোক ইন্টারনেট ব্যবহার করছে! Bangladesh Telecomunication Regulatory Commission (BTRC) এর ডেটা অনুযায়ী বাংলাদেশের মোবাইল ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা প্রায় ১০ কোটি ৬৩ লক্ষ। আরো অন্যান্য ISP( Internet Service Provider) ও PSTN(Public Switched Telephone Network) ইউজার আছে প্রায় ৯৮ লক্ষ ১০ হাজারের মতোন। এই সংখ্যাটি কিন্তু বাংলাদেশের জনসংখ্যার প্রায় ৭০ পার্সেন্ট!
মানে ক্যামনে কী এইডা!
আমি আসলে সত্যিই টাসকি খাইছি এইটা দেইখা যে বাংলাদেশের প্রতি ১০০জনের মধ্যে ৭০জনের ইন্টারনেটে Access আছে!
এইযে একটা বড় জনগোষ্ঠী আমরা সব সময় ভাবি এরা সারাক্ষণ ইউটিউবের বস্তাপঁচা ট্রেন্ডিং ভিডিও হয়তো দেখে অথবা এনায়েত চৌধুরীর Cringe ভিডিও দেখে। কিন্তু না, e-Commerce Association of Bangladesh(e-CAB) এর ডেটা অনুযায়ী বাংলাদেশে অনলাইনে কেনাকাটা করার প্রবণতা ২০২০ সালে প্রায় ৭০% বৃদ্ধি পেয়েছে।
এরমধ্যে অনলাইনে খাদ্য ও পণ্য কেনাবেঁচাই প্রায় ৩০০% বৃদ্ধি পেয়েছে! এই কারণে আপনি যদি এখন চিন্তা করেন, আগেকার দিনের ওল্ড Potato Sticks এর Ad কিংবা কোরবানির ঈদের সময় RC Cola এর Ad টিভিতে কয়েক সেকেন্ডের জন্য রান করানোর মাধ্যমে আপনি বিশাল পরিমাণ মানুষের কাছে পৌঁছাইতে পারবেন। তাইলে আপনি এখনও মিরাজ রিপনের স্বর্গে বাস করতেছেন।
আপনাকে এত বড় একটা জনগোষ্ঠী যারা অনলাইনে চলে আসছে অলরেডি, তাদের কাছে পৌঁছাইতে হইলে যে জিনিসটা করতে হবে তার নাম ডিজিটাল মার্কেটিং। এই ডিজিটাল মার্কেটিং এর উত্থান টা পুরো বিশ্বে এবং বাংলাদেশে ঠিক কখন শুরু হইছে, বর্তমান দুনিয়ায় একজন ডিজিটাল মার্কেটিং জানা লোকের চাহিদা কতটুকু, web 1.0,web 2.0,Click And Mortar Business এই টার্মগুলা আসলে কি, এবং সবশেষে Internet of Things বা IoT Based যে ডিজিটাল মার্কেটিং টা আছে এটাকে ইউরোপের দেশগুলো এবং বাংলাদেশের আইন সংস্থাগুলা আসলে কোন চোখে দেখে এই পুরো ব্যাপারটাই আমি আজকের পোস্টে ব্যাখ্যা করব। তো চলুন শুরু করা যাক।
প্রথমে চলেন দেখি Web 1.0, 2.0 এগুলা বলতে কী বোঝায়। ১৯৯১ সাল থেকে ২০০০ সাল পর্যন্ত এই সময়টাতে ওয়েবসাইটগুলা একটু স্ট্যাটিক ধরনের ছিল অর্থাৎ আপনাকে ওয়েবসাইটের Owner যা দেখাইতেছে আপনি ওইটার চেয়ে বেশি কিছু করতে পারতেন না। এইটার মধ্যে কোন ইন্টার্যাক্টিভ ফিচার ছিল না। অর্থাৎ ইউজার যে ওয়েবসাইটটা ইউজ করতেছে তার কোন ডেটা ওয়েবসাইটের মধ্যে দেওয়ার সিস্টেম ছিল না। আপনি হয়তো নিজের কোনো প্রোফাইলও ক্রিয়েট করতে পারতেন না, নিজের email address ও দিতে পারতেন না। ওইখানে ওয়েবসাইট এবং ইউজার এর মধ্যে যে Interaction টা দরকার ছিল, ওইটা ছিল না। এই যুগটাকেই বলা হয় web 1.0 এর যুগ।
এরপরে ২০০৪ সালে Web 2.0 এর যুগ আসছে Web 2.0 আপনাকে বলে যে আপনার পার্সোনাল যেই ডেটা আছে, আপনার email address টা, কিংবা আপনি ওয়েবসাইটের মধ্যে যখন Browse করতেছেন আপনি কোন কোন ডেটা দেখতেছেন, কতক্ষন ধরে দেখতেছেন,এই ডেটাগুলা আপনি যদি Allow করেন তাইলে ওয়েবসাইট নিজে সংগ্রহ করতে পারবে। এর মাধ্যমে ইউজারের সাথে ওয়েবসাইটের একটা Interaction এর কিন্তু ব্যবস্থা করে দেয়া হইলো এবং এইটাই হচ্ছে web 1.0 থেকে উত্তরণ হয়ে আমরা এখন Web 2.0 তে পৌছাইছি। এই টার্ম টা প্রথম ইন্ট্রোডিউস করেন Darcy DiNucci নামে একজন। উনি একটা আর্টিকেল লেখেন যার নাম ‘Fragmented Future’ ওইখানে টার্মটার উল্লেখ আছে।
২০০৪ সালে অনেক বড় একটা ঘটনা ঘটে। O’Reilly Media এবং MediaLive ওরা মিলে একটা কনফারেন্স Arrange করে। যেটার নামই হইতেসে Web 2.0 Conference। এইখানে অনেক বড় বড় মানুষজন এসে বক্তৃতা দিয়েছিল। সেই সময় Mark Cuban, Jeff Bezos থেকে শুরু করে ওই সময়ের অনেক হোমরা-চোমরা মানুষজন আসছিল। এইখানে তারা আউটলাইন করে যে ওয়েবকে এখন থেকে আমরা একটা প্ল্যাটফর্ম হিসেবে ইউজ করবো। একটা Software Application যেইরকম সবসময় ডেস্কটপে থাকে আমরা এইটাকে ওয়েবে নিয়ে যাবো। এতে করে যেইটা হবে কাস্টোমার, বিজনেস আসলে আপনার জন্য নিজেরাই তৈরি করে দিবে আপনাকে আলাদা করে কাস্টমারদের কাছে পৌঁছাতে হবে না। যদিও World Wide Web এর যে ইনভেন্টর Tim Berners-Lee উনি এই Web 1.0 আর 2.0 এর Differentiation টা পছন্দ করেন না। উনি বলছিলেন উনি যখন প্রথমে World Wide Web এইটা ইনভেন্ট করছিলেন, তখন তার মূল আইডিয়াটাই ছিল কাস্টোমার বা ইউজাররা যারা থাকবে ওরা ওয়েবসাইটের সাথে Interact করতে পারবে। তাছাড়া উনি আরেকটা ধারণা দেন যার নাম Semantic Web বা Web 3.0 বলা হইতেছে এইটাকে। সেখানে ওরা বলতেছে World Wide Web বা www কে এমন ভাবে সাজানো হবে যাতে করে ওয়েব পেইজের স্ট্রাকচারটা এবং এখানে যেসব ট্যাগগুলা আছে এগুলা Computer Readable বা Machine Readable হবে।
একটু সোজা কথায় বলে রাখি, আমাদের যেকোনো কোড বা ল্যাংগুয়েজ কিন্তু Machine Readable না। একটা Example বলি Extensible Markup Language(XML), এইটা হচ্ছে both Machine Readable এবং Human Readable একটা Coding Language। কিন্তু সব Language কিন্তু এইরকম না World Wide Web এর Web 3.0 এর যে কনসেপ্টটা ওইখানে কিন্তু এইটাই বলা হয়েছে যে পুরা ওয়েবের স্ট্রাকচারটা সাজানো হবে যাতে করে মেশিনও এটা পড়তে পারে, কম্পিউটারও এটা পড়তে পারে।সো লাস্ট অফ অল যখন Artificial Intelligence কিংবা IoT এর প্রসার আরো অনেক বেশি পরিমাণে বাড়বে তখন এই web 3.0 এর চাহিদা ওয়েব 2.0 থেকেও বেশি হবে।
এইবার আমি আপনাদেরকে একটু ১৯৫০ সালের আগের ঘটনায় নিয়ে যাই। ওই সময় তো যে কোম্পানিগুলো ছিল ওদের তো কোন অনলাইন বিজনেস ছিল না, কোন ওয়েবসাইটও ছিল না । এই ধরনের রিটেইলাররা যারা শুধুমাত্র তাদের পণ্য টা বেঁচে তাদের ফিজিক্যাল স্টোর এর মাধ্যমে এই বিজনেসটারই নাম হচ্ছে Brick and Mortar Business। ১৯৫০ এর আগে এই বিজনেসটা ছাড়া অন্য কোন বিজনেস ছিলইনা। তখন দোকানদাররা যেটা করতো কাস্টোমারদের কাছে ডিরেক্টলি তাদের ক্যাটালগ বা তাদের পণ্যের যে তালিকা সেটা পাঠাইতো।তাদের কাছে মেইল করতো,ইমেইল না,নরমাল যেই চিঠির মেইলটা আছে ওই মেইলটা করতো,Mail Order Sell সেইটাকে বলতেছি।ওইসময় এই Catalogue Retailer আর Mail Order Sell এর ধারণাটা অনেক বেশি জনপ্রিয় ছিল।১৯৫১ সালে আইসা যখন কম্পিউটার আসছে এবং সেইটা জেনারেল Purpose এ ইউজ করা শুরু হইছে,তখন কাস্টোমারদের প্রোডাক্ট কেনার যে প্রবণতা সেটাকে ট্র্যাক করা,তাদেরকে বিলিং করা এইসবকিছু কম্পিউটারাইজড হইতে থাকে।কিন্তু ১৯৭০ সালে আইসা যখন Personalised Computer বা PC যেইটাকে আমরা বলতেছি তখন থেকে মানুষের e-mail এর মধ্যে Advertisement সেন্ড করা এইটা একটা Norm এ পরিণত হয়।যেইটাকে আমরা E-mail Marketing এখনকার দুনিয়ায় বলতেছি।আস্তে আস্তে যখন কাস্টোমারদের আরো অনেক ডেটা কোম্পানিদের কাছে আসতে থাকলো যেমন কাস্টোমারের Gender কী, Age কী,সে কোন লোকেশনে থাকে,এই ডেটাগুলার উপর ভিত্তি করে কোম্পানিগুলা ওদের ক্যাটালগকে আরো বেশি স্পেসিফিকভাবে সাজানোর চেষ্টা করলো।এবং একজন Individual এর জন্য কোন প্রোডাক্টটা ভালো হবে এবং কোন সময়ে ভালো হবে এইটা কোম্পানিদের কাছে বোঝা অনেক বেশি সহজসাধ্য হয়ে উঠছে।সো এরপরে কোম্পানিগুলা তাদের একটা ওয়েবসাইট ও চালু করা শুরু করে। যত Brick and Mortar Business ছিল সবগুলাই তাদের একটা ওয়েব ভার্সন নিয়ে আসে। এবং তখন থেকেই এই যে কোম্পানিগুলা যাদের বোথ ফিজিক্যাল একটা স্টোর আছে আবার অনলাইনে একটা স্টোর আছে এই বিজনেস গুলোকে বলা হয় Click and Mortar Busineess। যেটা বর্তমান দুনিয়াতে অনেক জনপ্রিয়। তবে বাংলাদেশে এখনো জনপ্রিয় না। বাংলাদেশের মানুষজন কেন জানি ওয়েবসাইট খুলতে চায় না।
এইখান থেকে চলেন আমরা বাংলাদেশের ইতিহাসটা দেখি। বাংলাদেশে Digital Advertising টা শুরু হয়েছে ১৯৯০ সাল থেকে।২০১২ সালে একটা ধামাকা হয়। ওই সময় বাংলাদেশে 3G ইন্টারনেট চলে আসে তখন থেকে বাৎসরিক ভাবে ১৯.৪% করে ইন্তারনেট ইউজার বাংলাদেশে বাড়তে থাকে। একটু আগে আমরা বিটিআরসির যে ডেটাটা দেখছিলাম ওইটা তে কিন্তু একটু সমস্যা আছে। ওইখানে যদি যেকোন মানুষ গত ৯০ দিনের মধ্যে একবারের জন্য হইলেও ইন্টারনেটের মধ্যে ঢুকে তাইলেই তাকে ইন্টারনেট ইউজার হিসেবে ধরা হয়। কিন্তু সমস্যা হইতেছে সে গত ৯০ দিনে একবার ঢুকলো, কিন্তু এখনতো সে একটিভ না ওই মানুষগুলাকে কিন্তু আপনি Active Internet User বলতে পারবেন না। ২০১৭ সালের হিসাব মতে বাংলাদেশে অ্যাক্টিভ ইন্টারনেট ইউজার সংখ্যা এটা হচ্ছে প্রায় ৪০ মিলিয়ন যেটা পুরা জনসংখ্যার ২৪%। এর মধ্যে ১৪ মিলিয়ন লোক ডেইলি ইন্টারনেট ইউজ করে যেটা পুরা জনসংখ্যার ৮.৭%। খেয়াল রাখবেন এটা ২০১৭ সালের ডেটা। একটু পরে আমরা আরও আপডেটেড ডেটা দিবো। কিন্তু ইন্ডিয়াতে এই ই-কমার্সের Progress টা আরো অনেক বেশি হইছে। ওদের ৩৫% পপুলেশন এই ইন্টারনেট ইউজের আওতায় চলে আসছে।
এই যে এত বড় সংখ্যক একটা পপুলেশন ওদের কাছে পৌঁছাইতে হইলে আপনার বিজ্ঞাপন টা কিন্তু মেইনস্ট্রিম মিডিয়ায় দিলে হবে না এইটাকে দিতে হবে অনলাইনে যেখানে আপনার টার্গেটেড কাস্টোমাররা হয়তো বেশি। এই যে মেইনস্ট্রিম মিডিয়া থেকে বের হয়ে এসে আপনি ডিজিটালভাবে পণ্যের বিপণন টা করতেছেন এই জিনিসটার নামই হইতেছে ডিজিটাল মার্কেটিং।
ডিজিটাল মার্কেটিং এর অনেকগুলো Way আছে তার মধ্যে নাম্বার ওয়ান হইতেসে Social Media Marketing।এইখানে Facebook, Instagram, LinkedIn, Snapchat এর মতোন যে Platform গুলা আছে ওইখানে আপনি Paid Ad Campaign কিংবা Sponsored Content চালাইতে পারেন। এপ্রিল ২০২১ Statista এর হিসাব মতে বাংলাদেশের ফেসবুক ইউজারের সংখ্যা প্রায় ৪৩ মিলিয়ন।
যেইটা NepolionCat এর Statistics এর সাথেও মিলে যায়। ওরা বলতেসে মে মাস পর্যন্ত সেটা ৪৭ মিলিয়ন লোক বাংলাদেশে ফেসবুক ইউজার।যেইটা আমাদের দেশের প্রায় ২৮%।
এখন এই মানুষগুলার কাছে পৌছাইতে হইলে আপনার কিন্তু Facebook Marketing ছাড়া কোনো বিকল্প নাই। আর যারা F-commerce বা Facebook Commerce এর সাথে জড়িত তাদেরকে তো এটা করতেই হবে। আপনাকে এইখানকার B2B বা Business to Business মডেল টা কিভাবে রান হয় সেইটা জানতে হবে। একটা Ad Campaign আপনি কিভাবে রান করবেন সেইটা জানতে হবে।
Data Driven Communiaction এর এই যুগে আপনি যে ডেটা গুলা পাবলিকের কাছ থেকে Available সেইটার সর্বোচ্চ ব্যবহার কিভাবে করতে পারেন এই জিনিসগুলা কিন্তু আপনার জানতে হবে।
দ্বিতীয় জিনিসটা হচ্ছে Search Engine Optimization বা Seo Marketing। অনেকে এইটারেই একমাত্র ডিজিটাল মার্কেটিং বইলা জানে। আসলে না। আপনি যদি গুগুলের মধ্যে গিয়া সার্চ দেন “best rice in bangladesh”।
তাইলে আপনার এইখানে কতগুলা অপশন আসবে এইটা আপনার User Experience এবং ওই সাইটের যে Technical Element গুলা আছে এগুলাকে Index করার মাধ্যমে আপনার সামনে উপস্থাপন করা হয়। তো এই Search Engine Optimization যারা করতে জানে তাদের চাহিদা কিন্তু আরো দিনকে দিন বাড়বে। তবে একটা জিনিস মনে রাইখেন এইখানে যেটা বেস্ট হিসেবে দেখাবে এটা আসলেই যে বেস্ট এমন নাও হইতে পারে।তো সাবধানে!
তৃতীয় অপশন Pay Per Click বা PPC। এইখানে কী করে যারা মার্কেটার তারা Google কিংবা Microsoft Bing এর মতোন প্ল্যাটফর্ম গুলাতে Ad রান করাবে যেটা Paid। ধরেন আপনার ওয়েবসাইটের মধ্যে আমি কোনো একটা Ad দিলাম। তো ওর মধ্যে ক্লিক করে আপনার ওয়েবসাইট থেকে আমার ওয়েবসাইটে কিছু মানুষ আসবে। আর এইটার জন্য আমি আপনাকে টাকা দিব। যত বেশি ক্লিক পরবে, প্রত্যেক ক্লিক এর জন্য আমি আপনাকে একটা এমাউন্টের টাকা দিবো। এইটাই হচ্ছে Pay Per Click Marketing।এইটা অনেক সময়ই Bidding এর মাধ্যমে তৈরি করা হয়। যেমন ব্লগের মধ্যে আমার এই পোস্টটার ভিতরে আপনারা হয়তো এতক্ষণে কয়টা Ad দেখছেন। এইখানে অনেকগুলা কোম্পানি Bid করে যে আমি কত টাকা দিব। সেই Bidding এর উপরে কিন্তু Judge করা হয়।আর আপনারা যেটা অনেকেই ভাবেন এই Ad গুলার মধ্যে ক্লিক করার মাধ্যমে আপনি যদি ওয়েবসাইটে যান তখনই আমি কোনো না কোনো একটা টাকা পাই। এছাড়া অন্যান্য সিস্টেমে যদি আপনি পুরা Ad দেখেন তাইলে কিছু টাকা পাওয়া যায়। কিন্তু ক্লিক করার আগ পর্যন্ত খুব বেশি টাকা-পয়সা আমি পাই না। তো এই কারণে Ad দেখানোর মাধ্যমে আপনারা যেটা ভাইবা থাকেন ইউটিউবাররা অনেক হাজার হাজার কোটি কোটি টাকা কামাইতেছে ব্যাপারটা মোটেই সত্যি না। এই জায়গায় দক্ষ মানুষদের চাহিদাও কিন্তু দিনকে দিন পরবর্তীতে বাড়বে।
চার নম্বর জিনিসটা হচ্ছে E-mail Marketing। এর মাধ্যমে কোম্পানিগুলা তাদের ওল্ড কাস্টমারদের কাছে Newsletter পাঠায়া থাকে। আপনি যদি ১০% কোনো কিছুতে অফ পান, কিংবা আপনার জন্য ফ্রি শিপিং এর ব্যবস্থা করা হয় তাইলেও ওরা ইমেইল মার্কেটিংয়ের মাধ্যমে কাস্টোমারদের কে জানায়া দেয় যে আপনার জন্য এই অফারটা আছে। এটাও মার্কেটিং এর একটা ইম্পর্ট্যান্ট ফিচার! আমার কাছে বেশিরভাগ সময় অনেক GRE কোর্সের Ad সারাক্ষণ আসতে থাকে। কারণ আমার GRE Exam দেওয়া হয়া গেছে। So, এইটাও ডিজিটাল মার্কেটিং এর একটা Way।
৫ নাম্বার নাম্বার জিনিস, এটার নাম হচ্ছে Influencer Marketing। এটার একদম Live Example আমি আমার এই পোস্টের ইউটিউব ভিডিওতে দিয়েছি! পোস্টের শেষে ইউটিউব ভিডিওর লিংক আছে,দেখে আসবেন😉।
এখন এই পোস্টের একটা Controversial জিনিস নিয়ে কথা বলবো ডিজিটাল মার্কেটিং এর নেগেটিভ সাইড নিয়ে।যেইটা নিয়ে কথা বলতে অলরেডি ফারহান ভাই আমাকে পূর্ণ স্বাধীনতা দিয়ে দিছে।
দেখেন এই Web 2.0 বা Digiutal Marketing এর Era যখন থেকে শুরু হইছে তখন আপনার হাতে অনেকগুলা অপশন আসছে। কোম্পানিগুলা তখন থেকে কিছু Technology ইউজ করে যার নাম Content Aggregator Technology,যেইটা Gamper, 2012 এ বলছে। আপনি ইনফো মিডিয়ারে ইউজ করতেছেন। সব Comparison Site ইউজ করতেছেন। আপনি ওয়েবসাইটের মধ্যে একবার ঢুকলে বিভিন্ন প্রোডাক্টের মধ্যে কম্পেয়ার করতে পারেন। দামের মধ্যে কি হেরফের আছে, বিভিন্ন দোকান কোনটা কত কম প্রাইসে অথবা কত বেশি প্রাইসে যথাসাধ্য কোয়ালিটি আপনাকে উপস্থাপন করতেছে। এই ব্যাপারটা বা স্বাধীনতা টা আপনার কাছে কিন্তু এর আগে ছিল না। এই পর্যন্ত ঠিক আছে। কিন্তু যখন দেখি Internet of Things আসছে। অর্থাৎ ইন্টারনেটের মধ্যে যা কিছুই হবে সেখানে Human Interaction আর থাকবে না। ওইখান থেকে ডেটা Automatically Generate হয়ে আপনার কাছে চলে আসবে বা যে Ad Run করতেছে বা যে কোম্পানির কাছ থেকে আপনি কিছু কিনতেছেন তাদের কাছে চলে আসবে তখন থেকে কিছু সমস্যা দেখা দেয়। আপনি যখন কোনো একটা জায়গায় যান, ডিজিটালভাবে কোন ওয়েবসাইটে গেলেন তখন আপনাকে একটা Unique Identifier বা UID দেওয়া হয়।এইটার মাধ্যমে ডেটা আপনার কাছ থেকে Transact করে অন্য জায়গায় নেওয়া যায় কোনো Human To Human Interaction কিংবা Human To machine Interaction ছাড়াই। আপনি অনেক সময় হয়তো দেখছেন কোনো একটা ওয়েবসাইটে যাবেন,আপনাকে জিজ্ঞেস করবে আমরা কিন্তু Cookie এক্সেপ্ট করি। আপনি যদি ওই Accept Cookies জায়গাটার মধ্যে ক্লিক করেন তার মানে আপনি ওদেরকে বলতেছেন আমি এই ওয়েবসাইটের মধ্যে যা যা কিছু করতেছি এটার যে Small Information গুলা আছে আপনি ওইটা কালেক্ট করতে পারেন, আমি এটা Allow করতেসি। এই কারণে যে কোম্পানির Cookies আপনি Accept করবেন বা যে ওয়েবসাইটের Cookies Accept করবেন পরবর্তী সময় হয়তো আপনি দেখতে পাবেন ফেসবুকে ওই কোম্পানির কোন Ad আপনার সামনে চলে আসছে।
এইরকম ভাবে করলে কোন ধরনের সমস্যা নাই যেখানে আপনার অনুমতি নেওয়া হইতেছে এবং আমরা এই ধরনের ডিজিটাল মার্কেটিং কেই কিন্তু সাপোর্ট কিংবা প্রমোট করতে চাই। কিন্তু আপনি কোন দোকান থেকে কোন সময় কী অর্ডার করছেন, কী কী জিনিস খাইছেন এই জিনিসগুলা জানার মাধ্যমে অনেকে কিন্তু এটাকে বাজে কাজেও ইউজ করতে পারে। এইখানে IoT Based এবং non-IoT Based Digital Marketing এর তফাৎ। IoT Based Marketing এর মধ্যে আপনার যেহেতু অনেকগুলা ছোট ছোট ডেটা যেগুলা আপনি এলাও করছেন সেগুলা আমার কাছে আছে, আমি আপনাকে Personalised একটা অফার দিতে পারব যে আপনি কোন কোন জিনিস পছন্দ করেন তার উপর Base করে।যেটা non-IoT Based যেই Marketing গুলা আছে যেমন টিভিতে Ad রান করলেন কিংবা নিউজ পেপারের মধ্যে Ad দিলেন ওইখানে এই কাজটা করা পসিবল না।
আপনার ডেটার misuse যাতে না হয় এইজন্য বিভিন্ন দেশ বিভিন্নভাবে আইন করে রাখছে। এইটার মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় এবং প্রশংসিত যে আইনটা সেটা ইউরোপে GDPR(General Data Protection Regulation)।
এইটা যদি আপনি ব্রেক করেন একটা কোম্পানি হিসেবে আপনাকে ২০ মিলিয়ন ইউরো কিংবা আপনার Annual Turnover এর ৪% পর্যন্ত জরিমানা করতে হইতে পারে। যেটা Huge একটা এমাউন্ট। কোম্পানিগুলা এইটাকে খুবই ভয় পায়। এইটার Article 12 এ বলা আছে, “You have to explain how you process data in “a concise, transparent, intelligible and easily accessible form, using clear and plain language.” You must also make it easy for people to make requests to you (e.g., a right to erasure request, etc.) and respond to those requests quickly and adequately.”
মানে আপনার ডেটা আমি নিয়ে কিভাবে প্রসেস করতেছি এইটা আপনারে বইলা দিতে হবে এবং যদি আমি চাই আমার কোনো ডেটা আপনার কাছে যদি থাকে আর সেটাকে আমি মুইছা ফেলতে চাই, এই রিকোয়েস্ট টা যদি আপনাকে করি আপনাকে সেটা অবশ্যই পালন করতে হবে।
সেই তুলনায় একটু বাংলাদেশে আসি বাংলাদেশ এই ডিজিটাল ইনফরমেশনের সিকিউরিটি নিয়ে কতটা সজাগ। বাংলাদেশে একটা অ্যাক্ট আছে যার নাম Digital Security Act 2018।
এইটার Section 26 এর মধ্যে বলা আছে, ওরা পার্সোনাল ডেটাকে আইডেন্টিটি ইনফর্মেশন বলতেছে বাংলাদেশে।
“Section 26 of the Digital Security Act, 2018 defines personal data as “identity information”.Section 26 requires that an individual’s explicit consent or authorization be obtained for collecting, selling, storing/preserving, supplying or using his or her identity information.” অর্থাৎ এইখানেও আইডেন্টিটি ইনফর্মেশন বা আমার আপনার পার্সোনাল ডেটা ইউজ করার জন্য যে আমার আপনার কাছ থেকে অনুমতি নেওয়া লাগবে এই জিনিসটা Digital Security Act এর মধ্যে বলা আছে। কিন্তু সবাই যে সমালোচনাটা করে, এর পরের রেগুলেশনটা আসলে কী বা এইযে Consent বা অনুমতির যে রেগুলেশনটা এটা আপনি কিভাবে করবেন। এইটার ব্যাপারে আরো সুস্পষ্ট কিছু ধারণা দেয়া উচিত ছিল এই Digital Security Act 2018 এর মধ্যে।
যাই হোক আশা করি এই ক্ষেত্রে আরো কঠোর আইন আমরা হয়তো দেখতে পাবো যাতে আমাদের পার্সোনাল ডেটার কোনো Misuse না হয়।
ওকে ডিজিটাল মার্কেটিং নিয়ে অনেক কথা-বার্তা হইছে।এখন আমরা মিম রিভিউতে যাবো।
আপনি কি এখনো Subreddit এর মধ্যে জয়েন করেন নাই?😐
এইডা কোনো কথা?!
এই সপ্তাহে আমাদের 3k মেম্বার হয়ে গেল Subreddit এ!
Subreddit এর মেম্বারদেরকে আমার পক্ষ থেকে,অন্তরের অন্তঃস্থল থেকে অসংখ্য সাধুবাদ এবং শুভকামনা জানাই…
So,.Meme review!
Subreddit এ আপনারা মাস্ট জয়েন করবেন।আমি লিংক দিয়ে দিচ্ছি এইখান থেকে ডিরেক্টলি আপনারা জয়েন করতে পারবেন।
পুরা ভিডিও দেখেন ইউটিউবে!
Research Affiliates:
Labid Rahat: https://www.youtube.com/channel/UCTio…
Alif Arshad: https://www.facebook.com/alif.arshad.b
For Gaining more knowledge on this topic:-
‣ Internet Subscribers in Bangladesh
‣ E-commerce sales rise 70pc in 2020
‣ Leading countries based on Facebook audience size as of April 2021
‣ Web 2.0 | Definition & Examples
‣ Hypermedia and the Semantic Web: A Research Agenda
‣ BBC NEWS | Technology | Berners-Lee on the read/write web
‣ Web 2.0 conference 2004 coverage links
‣ The evolution of direct, data and digital marketing
‣ Digital marketing and social media: Why bother?
‣ Digital Marketing Practices in Bangladesh
‣ IDLC Monthly Business Review
‣ The Dynamics of Click-and-Mortar Electronic Commerce: Opportunities and Management Strategies
‣ Click-and-Mortar SMEs: Attracting customers to your website
‣ Understanding Digital Marketing Strategy
‣ Consumerism in the Digital Age – Kucuk – 2016 – Journal of Consumer Affairs
‣ Home IoT resistance: Extended privacy and vulnerability perspective
‣ A guide to GDPR data privacy requirements
‣ General Data Protection Regulation (GDPR) – Official Legal Text