মার্চ ২৯, ২০২১ এ Groupe Spécial Mobile Association (GSMA) এর একটা রিপোর্টে বলা হয় বাংলাদেশে প্রতি ১০০ জন মোবাইল ব্যবহারকারীর মধ্যে ৪১ জন স্মার্টফোন ব্যবহার করে।
এবং বাংলাদেশের সবচেয়ে সস্তা স্মার্টফোনটার দাম ২৯ ডলার বা আড়াই হাজার টাকা,যা এত বড় সংখ্যক একটা মানুষের স্মার্ট ফোন ব্যবহার করতে পারার পেছনে একটা বড় কারণ।
২০২০ সালের একটা হিসাবমতে একজন স্মার্টফোন ব্যবহারকারী গড়ে তার মোবাইলের মধ্যে ৪০টা অ্যাপ রাখেন। যদিও সেখানে ৪০টা অ্যাপ থাকে, বেশিরভাগ স্মার্টফোন ব্যবহারকারীর ৮৯% সময় ব্যয় হয় মাত্র ১৮টা অ্যাপ ব্যবহার করতে যেয়ে! অ্যাপ ইউজের স্ট্যাটিস্টিক্স অনুযায়ী মিলেনিয়াল বা যুবসমাজের ক্ষেত্রে এই অ্যাপ ব্যবহারের সংখ্যাটা প্রায় ৬৭ টা অ্যাপ পর্যন্ত! যার মধ্যে পঁচিশটা অ্যাপ কমনলি আমরা ব্যবহার করি। এমনকি আপনি আমার সব ভিডিও যে ইউটিউব অ্যাপ এর মধ্যে হয়তো দেখেন,এইটা ডাউনলোড করা হইছে প্রায় ১১৫মিলিয়ন বার! খুব রিসেন্টলি বাংলাদেশ সরকারের অর্থায়নে Department of Information and Communication Technology(ICT) বাংলাদেশের অনেকগুলা জেলাতে “Skill Development in Mobile Games and Applications” নামে ২০০ ঘন্টার একটা ফ্রি অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট কোর্স চালু করছে। যেইটার মাধ্যমে এই বিলিয়ন ডলারের অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট ইন্ডাস্ট্রিতে বাংলাদেশের মানুষের দক্ষতা বাড়ানোর জন্য চেষ্টা করা হইতেছে!
২০১৯ সালে যুক্তরাষ্ট্রের Grand View Research এর তথ্যমতে এই অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট ইন্ডাস্ট্রি বর্তমান পৃথিবীতে প্রায় ১৫৪.০৫ বিলিয়ন ডলার বিলং করে(World’s total market capitalization : $38569.409B)। এখন প্রশ্ন আসে এই বিশাল সম্ভাবনার মুখে বাংলাদেশের অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট এর প্রস্তুতি আসলে কতটা ভালো। অ্যাপ চালু করার সময় আমাদের যেই পার্সোনাল ডেটাগুলো নেয়া হয় সেগুলার মাধ্যমে কোনো প্রাইভেসির লঙ্ঘন হয় কিনা। অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট এর জন্য কোন প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে আসলে শুরু করা যায়। এই ব্যাপারে একজন এক্সপার্ট এর সাথে কথা এবং সবশেষে বাংলাদেশের কিছু সরকারি অ্যাপ যেগুলা খুবই আন্ডাররেটেড তাদেরকে ফ্রিতে শাউট আউট দেওয়ার মাধ্যমে আমি এই পুরো ব্যাপারটা আপনাদের সামনে উপস্থাপন করবো। তো চলুন শুরু করা যাক।✌
সময়টা ২০১৫ সাল, বাংলাদেশের ICT Division একটা স্থানীয় মোবাইল অ্যাপ ডেভেলপার কোম্পানির সাথে মিলা বাংলা ভাষায় ব্যবহার করার উপযোগী ৫০০টা মোবাইল অ্যাপ বানানোর সিদ্ধান্ত নিছে। যেই প্রজেক্টের মধ্যে প্রায় 9 কোটিরও বেশি টাকা খরচ করার সিদ্ধান্ত হইছিলো।
রিসেন্টলি আপনি যদি “National Apps Bangladesh” লিখে গুগল প্লে স্টোরের মধ্যে সার্চ দেন তাইলে কিন্তু ৫০০টা অ্যাপ দেখতে পাবেননা। ২০১৭ সালের একটা রিসার্চ অনুযায়ী তারা সেই সময় ১০০টা অ্যাপ দেখতে পাইছিলো।আমরা রিসেন্টলি যেয়ে ৫৩টার মতোন অ্যাপ দেখতে পাইছি।
কোনো না কোনো কারণে এই অ্যাপগুলা হয় আপডেট হচ্ছে না অথবা প্লে স্টোর থেকে সরায় নেওয়া হইতেছে।এইভাবেই গত কয়েক বছরে বাংলাদেশের অনেক অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট এর শুরুটা ক্ষতিগ্রস্ত হইছে কিছু স্পেসিফিক কারণে।২০১৪ এ Inokollu et al. একটা রিসার্চ এর মধ্যে একটা অ্যাপ এর ব্যর্থতার পিছনে চারটা কারণকে দায়ী করে।
১.Role of the Developer : অর্থাৎ অ্যাপটা যে বানাইতেছে তার রোল। সে অনেক সময় যে ইউজ করবে অর্থাৎ ইউজারদের ব্যবহারের এক্সপেরিয়েন্সটা সম্পর্কে না জেনেই অ্যাপ ডেভেলপ করে। সে কারণে ইউজারের যেই চাহিদাগুলা আছে সেইগুলা হয়তো অ্যাপগুলা মিটাইতে পারে না। এইটা এক নাম্বার রিজন বলা হচ্ছে একটা অ্যাপ এর ব্যর্থতার জন্য।
২.Role of the User : অর্থাৎ একজন ব্যবহারকারীর যেই ভূমিকাটা আছে এইখানে সেইটা।৫০০টা আমেরিকান মোবাইল অ্যাপের উপর একটা রিসার্চ হইছিলো যেটার বেশিরভাগ ইউজার হচ্ছে ১৮ বছর কিংবা তার চেয়ে বেশি বয়সের। সেইখানে ৯৬% ইউজার বলছে তারা যখন কোনো অ্যাপ ইউজ করতে যেয়ে ডিফিকাল্টি ফেস করে কিংবা হতাশ হয়ে যায় সেই ক্ষেত্রে তারা অ্যাপটাকে একটা ব্যাড রিভিউ দিয়া আসে।
৩.Role of Technical Details : অনেক ক্ষেত্রেই কোনো কোনো অ্যাপ ব্যবহার করতে যাওয়াটা এতটা টেকনিক্যালি কঠিন হয় যে সাধারণ মানুষের পক্ষে সেই অ্যাপগুলা ব্যবহার করা হয়তো সম্ভব হয় না এবং এই কারণে অ্যাপগুলা অনেক বাজে রিভিউও পায়।
৪.Role of Marketing : যেটা ব্যক্তিগতভাবে আমার কাছে সবচেয়ে বড় কারণ মনে হয় সেইটা হচ্ছে Role of Marketing। অনেক ভালো ভালো অ্যাপ যেগুলা মার্কেটিং এর অভাবে, অ্যাডভার্টাইজমেন্টের অভাবে মানুষ জানতেই পারে না যে এই ধরনের কিছু অ্যাপ আছে এবং ৭০% অ্যাপ ডেভেলপাররা এই কারণে হতাশ যে তাদের অ্যাপটার যথাযথ মার্কেটিং করা হয় নাই দেখে অ্যাপটা ব্যবহার করা হচ্ছে না। বাংলাদেশের সরকারি অ্যাপের ক্ষেত্রে এই লাস্টের কারণটাই বেশি ম্যাটার করে এবং যেই কারনে আমরা ঠিক করসি অনেকগুলা সরকারি অ্যাপকে আমরা ফ্রিতে শাউট আউট দিবো। যেগুলা এই শাউট আউট ডিজার্ভ করে!
So,অ্যাপ নাম্বার ওয়ান,অ্যাপটার নাম হচ্ছে উত্তরাধিকার (Uttoradhikar)। এইটা আমাদের রিসার্চ অনুযায়ী বেস্ট রিভিউড একটা Government App।
এইটা Access to Information (a2i) Programme থেকেই বানানো হইছে।রেটিং ৪.৭ কারেন্টলি। এইটা এক লক্ষ বারেরও বেশি ডাউনলোড করা হইছে। এই অ্যাপটার মধ্যে আপনাকে যেটা করতে হয় -আপনার বাবার টোটাল কতটুকু সম্পদ আছে আর আপনারা উত্তরাধিকারী কতজন আছেন ছেলে-মেয়ে মিলায় এই ডেটাটা আপনি ইনপুট দিবেন, ইনপুট দিলে ওই অ্যাপ নিজে নিজে হিসাব করে বের করে দিবে কার কতটুকু সম্পদ পাওনা। এইটা সরকারি হিসাবমতে এই অ্যাপের মধ্যে একদম এক্স্যাক্ট ক্যালকুলেশনটা চলে আসে।আপনারা জানেন স্বল্প শিক্ষিত এবং গ্রামের দিকের অনেক দরিদ্র পরিবারের মধ্যেই সম্পদের এই বন্টন নিয়ে মারামারি খুনোখুনি পর্যন্ত হয়! সেই জায়গায় এত সহজে সম্পদের বন্টনটা বের করে ফেলা এই অ্যাপ এর অন্যতম একটা ভালো দিক! আর গুগল প্লে স্টোরে সরকারি অ্যাপগুলার মধ্যে এই অ্যাপের রেটিংটা অনেক বেশি ভালো।
দুইনাম্বার অ্যাপ Bangladesh Directory।
এই অ্যাপটার মধ্যে সরকারি বিভিন্ন জায়গার যে অফিসাররা আছেন তাদের ইমেইল এবং ছবি দিয়ে একটা ডিরেক্টরির মতন বানানো হইছে। যেখানে আপনি তাদের নামকে সার্চ দিতে পারেন অ্যান্ড সরকারি যেকোনো দপ্তরের যেকোনো অফিসারের সাথে আপনি ডিরেক্টলি যোগাযোগ করতে পারেন।
এইটা করা হইছে মূলত জনগণ এবং সরকারি অফিসারদের মধ্যে যে কমিউনিকেশন গ্যাপটা আছে এইটা কমানোর জন্য।স্পেশালি প্রত্যন্ত অঞ্চলের জায়গায় যেইখানে একজন জনপ্রতিনিধির অফিস এবং জনগণ যেখানে থাকতেছেন তার মধ্যে সরাসরি যোগাযোগ করা অনেক বেশি দুরূহ একটা ব্যাপার, সেখানে এই অ্যাপ একটা বড় সমাধান হইতে পারে!
এইটাও a2i এর আন্ডারে করা হইছে। রেটিং : ৪ ।এইটা ৫০ হাজার বারেরও বেশিবার ডাউনলোড করা হইছে। অ্যাপটার আমাদের দেখা মতে লাস্ট আপডেট জুন ১,২০২১। যদিও প্লে স্টোরের মধ্যে কিছু বাজে রিভিউ আছে এইটা সম্পর্কে। কিন্তু আসা করি Further আপডেটের মাধ্যমে এই Bug এবং প্রবলেমগুলা অ্যাপের মধ্যে ফিক্সড হয়ে যাবে!
তিন নাম্বার অ্যাপ আমার নির্বাচনী এলাকা – My Constituency।
একটু মনে রাখতে হবে এটার অ্যাপ ভার্সনটা শুধুমাত্র মেম্বার অফ পার্লামেন্ট অর্থাৎ বাংলাদেশের জাতীয় সংসদের যে সংসদ সদস্যরা আছেন তারাই ইউজ করতে পারেন। রেটিং ৪.২।a2i এর আন্ডারেই। ডাউনলোড ৫ হাজার বারের বেশি। খেয়াল রাখবেন এইটা শুধুমাত্র এমপিরাই শুধুমাত্র ইউজ করতে পারেন সেক্ষেত্রে ডাউনলোড একটু কমই হবে। এই অ্যাপটা যেটা করে – আপনি যদি একজন সংসদ সদস্য হন, আপনার নির্বাচনী এলাকার মধ্যে উন্নয়ন এবং চ্যালেঞ্জ এর সামগ্রিক একটা চিত্র এই অ্যাপ আপনার সামনে তুলে ধরবে! আপনার এখানে বিভিন্ন সেক্টর আছে – স্বাস্থ্য, শিক্ষা, পানি ও পয়ঃনিষ্কাশন, চাকরি-বাকরি,সামাজিক নিরাপত্তা এরকম আরো অনেকগুলা ক্ষেত্রে আপনার এলাকার বর্তমান অবস্থাটা কী এবং কোন কোন সমস্যা সবাই ফেস করতেছে এটার একটা ডেটাবেজ অ্যাপের মধ্যে দেওয়া আছে।
যদিও ডেটাবেজটা একটু পুরানো ২০১৭-১৮ পর্যন্ত হয়তো আপডেট করা আছে, কিছু কিছু জায়গায় ২০২১ পর্যন্ত আপডেট করা আছে।বাট এই ডেটাগুলাই একজন সংসদ সদস্য যদি ইউজ করেন, এইটা তার জন্য বেশ বড় একটা সমস্যার সমাধান হইতে পারে! এটার অ্যাপ ভার্সনটা যদিও শুধুমাত্র এমপিদের ইউজ করার জন্য তবে ওয়েবসাইট ভার্সনটা কিন্তু সবার জন্য ওপেন করা। আপনারা চাইলে দেখে আসতে পারেন।
My Constituency website: http://www.myconstituency.gov.bd/
চার নাম্বার অ্যাপ My Gov – আমার সরকার। এই অ্যাপের আইডিয়াটা খুবই জোস!
সরকারি সকল সেবাদানের প্ল্যাটফর্মগুলাকে এইখানে একসাথে করা হইছে। যেমন : পানির বিল, গ্যাস বিল, সরকারি চাকরির নোটিশ, লাইসেন্স দেওয়া, আপনার একটা জায়গা থেকে ভাতা নিতে হইলে কোথায় যাওয়া লাগবে, কোন কোন ডকুমেন্ট সাথে নিয়ে যাওয়া লাগবে – এই সবকিছু মিলেই একটা অ্যাপের মধ্যে ইন্টিগ্রেট করার চেষ্টা করা হইছে!
সাধারণ নাগরিক এবং প্রশাসনিক মানুষজনের জন্য লগইন এর আলাদা আলাদা ব্যবস্থা রাখা হইছে। এইটা a2i এর আন্ডারে। রেটিং ৩.৬।ডাউনলোড করা হইছে এক লাখ বারের ও বেশি।লাস্ট আপডেট জুলাই ৮, ২০২১ অর্থাৎ খুব রিসেন্টলি আপডেট করা হইছে। এইটার বাজে রেটিং এর কারণ হচ্ছে এটাতে কিছু Bug ছিল। লগইন করতে গেলে অনেক Error দেখাইতো আগের ভার্সনগুলাতে। কিন্তু এখনকার ভার্সনে যদি এই সমস্যাগুলো সমাধান করা হয় কিংবা পরবর্তীতেও সমাধান করা হয় এইটা খুবই জোস একটা অ্যাপ হইতে যাইতেছে।
তারপরের অ্যাপ ভূমিসেবা। এই অ্যাপের মধ্যে জমিজমা সংক্রান্ত অনেক ডেটা আপনি পাবেন।
অকৃষি খাস ল্যান্ড সেটেলমেন্ট, বিভিন্ন ধরনের নামজারি, ভূমি উন্নয়নের জন্য কতটুকু ট্যাক্স পে করা লাগে, জমি মাপার বিভিন্ন ধরনের একক – এইরকম আরো অনেক কিছুর ডেটা এই অ্যাপের মধ্যে দেওয়া আছে। তার পাশাপাশি ভূমি সংক্রান্ত বিভিন্ন ডিপার্টমেন্ট এবং অফিসের যেই কর্মকর্তারা আছেন তাদের নাম, ডিটেইল এবং Contact Information এই সবকিছুই এই অ্যাপের মধ্যে একসাথে দেওয়া আছে!
এইটার রেটিং ৪.৩ এবং লাস্ট আপডেট করা হইছে জুন ১০, ২০২১ – খুব রিসেন্টলি। এই অ্যাপটা যারা ভূমি নিয়ে কাজ করে অর্থাৎ জমিজমা কেনাবেচা তাদের জন্য খুবই Revolutionary একটা অ্যাপ!
এইরকমই আরেকটা অ্যাপ হচ্ছে eKhatian, যেটা অনেক জনপ্রিয় হইছে মানুষের মাঝে। কিন্তু অনেকে এটা সম্পর্কে জানেনা।
এই অ্যাপটা একজন নাগরিকের জন্য একটা ট্র্যাকিং আইডি দেয়। যেই ট্র্যাকিং আইডি দিয়ে আপনি খতিয়ান এবং মৌজা সংক্রান্ত যে কোন ইনফরমেশনকে ট্র্যাক করতে পারবেন, সেটার অবস্থা জানতে পারবেন! আপনি যদি এই সংক্রান্ত কোনো এপ্লিকেশন দিয়ে থাকেন সেই এপ্লিকেশনের কারেন্ট অবস্থাটা কি সেটাও জানতে পারবেন! এইটার রেটিং ৩.৮। আপডেট করা হইছে লাস্ট জুন ২৭, ২০২১।
কিছুটা ক্রিটিক্যাল এনালাইসিস করার পরে আমরা দুইটা সরকারি এমন এমন অ্যাপ সিলেক্ট করসি যেটা বাংলাদেশের মানুষের মন আসলেই জয় করে নিছে। তার মধ্যে একটা হচ্ছে Rail Sheba অ্যাপ।
আমি জানি আপনারা এখন আমাকে গালি দিতেছেন কারণ টিকিট নিয়ে অনেকের অনেক বাজে অভিজ্ঞতা আছে।But, তারপরও E-Ticketing সার্ভিস টাকে পুরাপুরিভাবে ডিজিটালাইজ করার কৃতিত্ব এই অ্যাপকে দিতেই হবে। আমি নিজের এক্সপেরিয়েন্স থেকেও বলতেছি আমি এখন আর ট্রেনের টিকেট কমলাপুর স্টেশনে যেয়ে কাটিনা!সব সময়ই আমি এই অ্যাপই ইউজ করি।রেলসেবা অ্যাপের রেটিং বর্তমানে ৪। এই অ্যাপটা দশ লক্ষ বারেরও বেশি ডাউনলোড করা হইছে। শেষবার আপডেট করা হইছে জুন ৯, ২০২০ এ। প্রথম দিকে সার্ভার রিলেটেড কিছু ঝামেলা ছিলো কিন্তু পরে আস্তে আস্তে এই সমস্যাটা কাটায়া ওঠার চেষ্টা করা হইছে। ব্ল্যাক টিকেটিং নিয়ে এখনো কিছু প্রবলেম আছে। যারা ব্ল্যাকে টিকেট বিক্রি করে তারা হয়তো একদম সকালের দিকে আগে আইসাই অনেকজন মানুষকে লাগায়া একসাথে অনেক টিকেট কাইটা ফেলে।কিন্তু তারপরেও ওভারঅল টিকেট এর কালোবাজারি বন্ধ করা এবং সহজে ট্রেনের টিকেট জনগণের কাছে পৌঁছায় দেওয়ার যে দায়িত্বটা এইটা রেলসেবা অ্যাপের কৃতিত্ব অবশ্যই বলতে হবে!
এরপরের অ্যাপটা হচ্ছে Surokkha অ্যাপ। আপনি যদি অলরেডি কদমফুল রোগের ভ্যাকসিন নিয়া থাকেন তাইলে হয়তো এটার ওয়েবসাইট কিংবা অ্যাপের মাধ্যমেই আপনি নিছেন।
এই অ্যাপটার ভূয়সী প্রশংসা আমি শুনছি।And, আমি নিজেও যখন ইউজ করছি বেশ ভালো এক্সপেরিয়েন্স পাইছি। আমি যতদূর জানি তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অধিদপ্তরের কয়েকজন প্রোগ্রামার মিলে এই অ্যাপটা নামাইছেন। এইটার জন্য এক্সট্রা কোনো ডেভেলপার এর উপর কোনো খরচ করা হয় নাই! যেটা আইসিটি ডিভিশন এর প্রোগ্রামারদের অবশ্যই বড় একটা কৃতিত্ব! অনেক বেশি লোড পরার কারণে মাঝে মাঝে সার্ভারে কিছু গন্ডগোল হইছে। কিন্তু এইটা ছাড়া বাকি সব জায়গাতেই এই অ্যাপটা কৃতিত্বের সাথে তার দায়িত্ব সম্পন্ন করছে। যদিও এইটার রেটিং ৩.৭। এই রেটিং দিয়ে এটাকে জাজ করা যাবেনা। এই মহামারীর সময় এই অ্যাপটা অনেক মানুষের যাতায়াতের সময় বলেন এবং তাদের ডেটা সঠিকভাবে সংরক্ষণ করার কথা বলেন, আপনার ভ্যাকসিন রিলেটেড যাবতীয় কর্মকাণ্ড কিন্তু এই অ্যাপটার মাধ্যমেই সম্পন্ন হইছে। লাস্ট আপডেট জুলাই ৭, ২০২১।
এখন বলি আপডেট করা নিয়ে আমি কেন এতো কথা বলতেছি, ২০১৬ তে Nayebi et al. ওরা একটা রিসার্চের মধ্যে দেখাইসিলো অ্যাপ ইউজাররা বেশিরভাগ সময় এমন অ্যাপ ডাউনলোড করেন না যেটা অনেক বেশি ডাউনলোড করা হইছে অলরেডি। বরঞ্চ এমন সব অ্যাপ ডাউনলোড করেন যেই অ্যাপটা রিসেন্টলি আপডেট করা হইছে। অর্থাৎ ইউজারদের কাছে রিসেন্ট আপডেট করা অ্যাপের মূল্য অনেক বেশি! যদিও ওই অ্যাপটা অনেক বেশি বার ডাউনলোড করা হয়া থাকে, কিন্তু এটার আপডেট খুবই পুরান আমলের ২০১৭ কিংবা ১৮ এর দিকের, ওই অ্যাপটা ইউজাররা কখনোই ডাউনলোড বা ইন্সটল করবে না। এই টেন্ডেন্সিটা রিসার্চের মধ্যেই দেখা গেছে।২০১৭তে Wang et al. ওরা একটা রিসার্চের মধ্যে দেখাইসে।
ওরা প্রায় ১ মিলিয়ন অ্যাপ এবং ৩,২০,০০০ অ্যাপ ডেভেলপার এর ইনফর্মেশন এর উপরে রিসার্চ করছিলো। ওরা বলছিলো আপনি যদি অনেকগুলা অ্যাপ একটা মাত্র প্রতিষ্ঠান কিংবা ডেভেলপারকে দিয়ে বানান সেই ক্ষেত্রে এটা আপনার জন্য অনেক বড় একটা ক্ষতির কারণ হবে! যদি কোনো একজন সিঙ্গেল পারসন কিংবা সিঙ্গেল ডেভেলপার ৫০টার বেশি অ্যাপ একা বানায় তাইলে সেই ডেভেলপারকে ওরা বলতেছে অ্যাগ্রেসিভ ডেভেলপার। সোজা কথায় এই ডেভেলপার খাইস্টা!(😂)অ্যাপের কোনো প্রবলেম হইলে ওরা আপডেট করে না কারণ একাই এতগুলা অ্যাপ বানাইসে! মোট কথায় ওদের দায়িত্বজ্ঞান কম থাকে যদি একা অনেকগুলা অ্যাপ বানায়া থাকে। বাংলাদেশের অনেক ক্ষেত্রে কিন্তু এই অ্যাগ্রেসিভ ডেভেলপারদেরকে দেখা যায় বিশেষত সরকারি অ্যাপ ডেভেলপমেন্টের ক্ষেত্রে। একজন ডেভেলপার কিংবা একজন পার্সনকে দিয়ে যদি অনেক বেশি অ্যাপ বানানো হয় সেই ক্ষেত্রে ওই অ্যাপগুলার আপডেট ঠিকমতোন করা হয় না এবং আমাদের দরকার নন-অ্যাগ্রেসিভ ডেভেলপার। যারা একা খুব বেশি অ্যাপ ডেভেলপ করবে না কিন্তু যতগুলা অ্যাপ ডেভেলপ করবে তারা, তারা ওইটার মেইনটেনেন্স ঠিকমতোন করবে, আপডেট ঠিক মতোন করবে।Hossain et al. (2020) ওরা বলতেছে বাংলাদেশের বেশিরভাগ Non-governmental যে অ্যাপগুলা আছে ওইগুলার অ্যাপ ডেভেলপাররা ৩১ টা অ্যাপ এর থেকেও কম অ্যাপ বানাইসে, অন এন এভারেজ।So, ওরা কিন্তু অ্যাগ্রেসিভ ডেভেলপার না। এবং এই কারনে ওই অ্যাপগুলার কোয়ালিটি কিন্তু Government App গুলার কোয়ালিটির থেকে অনেক ভালো।So, এইটা একটা মাথায় রাখার মতোন জিনিস পরবর্তীতে Government App নতুন করে বানাইতে যাওয়ার ক্ষেত্রে!
কিছু জায়গয় অন্যান্য জটিলতাও থাকে। যেমন একটা example হচ্ছে ভ্যাট চেকার অ্যাপ। এই অ্যাপটা ব্যবহার করার মাধ্যমে, আগেই বইলা রাখি এই অ্যাপ টা এখন বন্ধ,নাই!
বাট এইটা একটা Revolutionary চিন্তা ছিলো! ধরেন আপনি কোনো দোকানে কিংবা রেস্টুরেন্টে গেছেন। এই অ্যাপটা ইউজ করার মাধ্যমে আপনি বইলা দিতে পারবেন যে ওই রেস্টুরেন্টের মালিক আসলে সরকারকে ভ্যাট দেয় কি দেয় না! ফলে যদি ওই প্রতিষ্ঠানটা ভ্যাট ফাঁকি দিয়া থাকে, সেই গ্রাহক নিজেই রাজস্ব বোর্ডকে এই ফাঁকির কথাটা জানাইতে পারবে! চালু হওয়ার পরে গ্রাহকরা এই অ্যাপের মাধ্যমে National Board of Revenue বা জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের কাছে প্রায় ১১ হাজার অভিযোগ দায়ের করছিলেন! এতে অন্তত প্রায় দুইশ কোটি টাকার রাজস্ব ফাঁকি রোধ করা সম্ভব হইসে! ২০১৮ সালে এই ভ্যাট চেকার অ্যাপ কে জাতীয় মোবাইল অ্যাপ পুরস্কারে ভূষিত করা হয়।But, পরবর্তীতে এই অ্যাপটা কোনো কারণে বন্ধ হয়ে গেছে। আমাদের উচিত এই ধরনের উদ্যোগ গুলাকে আরো বেশি পরিমাণে সামনে আগায় নিয়া যাওয়া। এগুলাকে পৃষ্ঠপোষকতা প্রদান করা।
BASIS(Bangladesh Association of Software and Information Services) এর রেজিস্টার্ড মেম্বারদের হিসাব অনুযায়ী যারা এই ওয়েব ডেভেলপমেন্ট, অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট, অ্যাপ কাস্টোমাইজেশন – এই ধরনের সার্ভিস প্রদান করে এমন ফার্ম বাংলাদেশে আছে প্রায় ১১৪টা। এর মধ্যে BASIS এর রেজিস্টার করা শুধুমাত্র মোবাইল অ্যাপ নিয়ে কাজ করে এমন প্রতিষ্ঠান ৫৯ টা। এইটা হইলো শুধুমাত্র BASIS এর রেজিস্টার করা কোম্পানি। এইটা ছাড়াও বাইরে আরো অনেক ইন্ডিভিজুয়াল অ্যাপ ডেভেলপার আছেন। অনেক কোম্পানি আছে। তাই Clutch এর আরেকটা হিসাব অনুযায়ী এই সংখ্যাটা প্রায় ৫৫৮।Grand View Research, USA এর একটা হিসাব অনুযায়ী ২০১৯ সালেই পুরো অ্যাপ ইন্ডাস্ট্রির পরিমাণ ১৫৪.০৫ বিলিয়ন ডলার। এত বড় একটা অ্যাপ ইন্ডাস্ট্রির ডিমান্ড পূরণ করার জন্য বাংলাদেশের জনবলের দক্ষতা তৈরি করা অত্যাবশ্যক একটা জিনিস। “Skill Development in Mobile Games and Applications” এই নামে অলরেডি আইসিটি ডিপার্টমেন্ট এর পক্ষ থেকে কিন্তু ২০০ ঘন্টার একটা ফ্রি কোর্স দেওয়ার জন্য প্ল্যান করা হইছে।এবং এইটা যদি বাংলাদেশের অনেকগুলা জেলাতে বাস্তবায়ন করা যায় প্রত্যন্ত অঞ্চলের অনেক মানুষ এই অ্যাপ ডেভেলপমেন্টে নিজেকে দক্ষ করে তুলতে পারবে।
***
Interview with Mirajul Islam
CSE, BUET, 2014
Ex Lecturer,CSE,UIU
এনায়েত : বাংলাদেশে অ্যাপ ডেভেলপাররা আসলে কতটুকু পৃষ্ঠপোষকতা পায়?
মিরাজুল : আমি যদি অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট বানানোর কথাতে যাই তাহলে আসলে সরকার থেকে যে মোবাইল অ্যাপ্লিকেশনগুলা বানানো হয় সেগুলার জন্য আসলে টেন্ডার দেয়া হয়। বিভিন্ন প্রজেক্ট এর জন্য সরকার থেকে যেমন টেন্ডার দেয় যেকোনো কনস্ট্রাকশন প্রজেক্ট এর জন্য। So, অ্যাপ বানানোর জন্য আসলে টেন্ডার হয়। এখন এই টেন্ডারগুলা নেয়ার জন্য আসলে বাংলাদেশের যতগুলো দেশীয় সফটওয়্যার কোম্পানি আছে এদের মধ্যে একটা চরম প্রতিযোগিতা হয় যে কে আসলে ওই প্রজেক্টটা বা অ্যাপ্লিকেশনটা বানানোর টেন্ডারটা ধরতে পারবে!এখন সত্যি কথা বলতে এখানে নর্মাল টেন্ডারের মতো আরও অনেক বিষয় চলে আসে আসলে, যে এখানে কার কানেকশন ভালো বা কার পরিচিতি ভালো উপরের মহলের সাথে। এরকম কিছু বিষয়ও মাঝেমধ্যে চলে আসে। So, বাংলাদেশের যে লোকাল কোম্পানিগুলা আছে এরাই আসলে মূলত এই প্রজেক্টগুলো আসলে পায়। এবং তারা পরবর্তীতে ডেভেলপার হায়ার করে। তাদের কোম্পানিতে যারা চাকরি করে তারাই আসলে অ্যাপ্লিকেশনগুলো ডেভেলপ করে।এখন তারা আসলে একটা মান্থলি সেলারি পায়। So, ইন্ডিভিজুয়াল বেসিসে সরকারি এপ্লিকেশন আসলে কারো হাতে যায় বলে, আমার জানা মতে আর কি কারো হাতে যায় না। এগুলা আসলে কোম্পানির কাছে যায়।
***
এইবার আসা যাক ডেটা প্রটেকশন নিয়ে। মিরাজুলরাই ওদের রিসেন্ট একটা পেপারের মধ্যে পুরা ওয়ার্ল্ডকে দুইটা অংশে ভাগ করছে। গ্লোবাল নর্থ এন্ড গ্লোবাল সাউথ। এই দুইটা অংশের মধ্যে অ্যাপ রিলেটেড ডেটা প্রটেকশনে গ্লোবাল নর্থ অনেক আগায়া আছে, গ্লোবাল সাউথ এর থেকে।
এর অন্যতম একটা রিজন অবশ্যই হচ্ছে General Data Protection Regulation(GDPR), যেটা ইউরোপে অ্যাভেইলেবল।
এইটার Article 12 এর মধ্যে ডিরেক্টলি বলা আছে, আপনি যদি একজন ইউজার হিসেবে মনে করেন আপনি আপনার পার্সোনাল ডেটা অ্যাপ ডেভলপারদের Information Base থেকে মুছে দিবেন। তারা সেটা করতে বাধ্য!
But, এই ধরনের রেগুলেশন গ্লোবাল সাউথে নাই যার মধ্যে বাংলাদেশও ইনক্লুডেড। বাংলাদেশে যে Digital Security Act 2018 এইখানে প্রাইভেসি নিয়ে আরো অনেক শক্ত অবস্থানে যাওয়া যায়!
যেই ইনফর্মেশনটাকে আমরা আইডেন্টিটি ইনফর্মেশন বলতেছি, এইখানে বলা হইসে একজন ব্যক্তির অনুমতি ছাড়া আপনি যদি তার ডেটা ইউজ করেন সেটা একটা অপরাধ হবে। এরজন্য আপনাকে ম্যাক্সিমাম ৫ বছরের জেল কিংবা ম্যাক্সিমাম ৫ লাখ টাকা কিংবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত করা হইতে পারে।
আমরা এতক্ষণ দেশীয় বিভিন্ন অ্যাপ নিয়ে কথা বলছি এখন আমরা একটু ইন্টারন্যাশনাল অ্যাপ এর দিকে তাকাই। লাবিদ এইখানে বিশাল একটা লিস্ট বানাইছে! যেই লিস্ট এর মধ্যে অনেক ধরনের অ্যাপ আছে। সোশ্যাল মিডিয়া থেকে শুরু করে ফুড এন্ড রেস্টুরেন্টসহ অনেকগুলা।
এর মধ্য থেকে আমরা বিভিন্ন ফিল্ডে কয়েকটা অ্যাপ সিলেক্ট করছি যেগুলা সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয় হইছে গত কয়েক বছরের মধ্যে।
Social Sector: Facebook
Entertainment: Youtube
Music: Spotify
E-commerce : AliExpress
Travel: Uber
Education: Google Classroom
Health & Fitness: Samsung Health
Food & Drinks: Uber Eats
Meeting or Video Conference: Zoom (In alltime record : Skype, মেয়বি স্কাইপি যুমেরটা প্রেডিক্ট করতে পারে নাই কোনো কারণে…)
Carrier: LinkedIn
Dating: Tinder(👀)
এইটার সাথে আপনাদেরকে আর একটা ইনফরমেশন জানায়া রাখি ফুডপান্ডা এবং দারাজ এইগুলা কিন্তু দেশি অ্যাপ না এইগুলা বিদেশি অ্যাপ। অনেকে এগুলাকে দেশি অ্যাপ মনে করে। যাইহোক আপনারা আমাদের ছোট্ট বন্ধু লাবিদের চ্যানেলটা ঘুরে আসতে পারেন আমি লিংক এখানে দিয়ে দিচ্ছি।
লাবিদের ইউটিউব চ্যানেল :- V-gull & History
ও জেনারালি জিওগ্রাফি অ্যান্ড হিস্টোরি নিয়ে ভিডিও বানায়। ওর Explanation টা ম্যাপ অ্যানিমেশন এর মাধ্যমে দেওয়া হয়। So, আশা করি করি আপনারা এনজয় করবেন। তারসাথে ইদানিং আমার সাথে আরেকজন ছোট্ট বন্ধু কাজ করে নাম আলিফ আরশাদ। ওর কোনো চ্যানেল নাই। ওই কেন এইখানে কাজ করতেসে আমি জানি না। বাট ওই কাজ করতেসে।
Alif Arshad :- https://www.facebook.com/alif.arshad.b
আজকের পোস্ট এই পর্যন্তই।
আমি চাই এখনি আপনি আমার Subreddit এ জয়েন করেন।
নিচে আমি Subreddit এর লিংক দিয়ে দিছি।
এনায়েত চৌধুরীর সাবরেডিট: https://www.reddit.com/r/Enayet_Chowdhury/
প্লিজ ভাই,জয়েন করেন না ভাই,কত বলবো আর!?😐
সবাই ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন। আল্লাহ হাফেজ।
যান ভাই…Cut!!👀
পুরা ভিডিও দেখেন ইউটিউবে!
For Gaining more knowledge on this topic:
• Bangladesh govt to provide free training for apps development
• Achieving mobile-enabled digital inclusion in Bangladesh
• 55+ Jaw Dropping App Usage Statistics in 2021 [Infographic]
• App fails to provide train tickets for 3rd straight day
• কেন বন্ধ হয়ে গেল ভ্যাট ফাঁকি রোধের অ্যাপ
• Govt to make 500 mobile apps in Bangla
• Exploring the Behavior of App Developers and the Future of Digital Bangladesh
• [1410.4537] Factors Influencing Quality of Mobile Apps:Role of Mobile App Development Life Cycle
• A Study and Overview of the Mobile App Development Industry
• Top App Developers in Bangladesh
• 1983 to today: a history of mobile apps
• A History of Mobile Application Development
• Tracing the History and Evolution of Mobile Apps
• 15 best Android apps available right now
• Top Apps Of The Decade: Where Facebook, Google, TikTok And Twitter Rank
Onk tottho purno post. Osoknhko Dhonnobad ai oshadaron Post er jonn
Thank you so much for your kind words. Stay with us.